চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটে কর্মরত ইলিশ গবেষক ড. মো আনিসুর রহমান জানান, এখন নদীর পানি বৃদ্ধি ও অধিক বৃষ্টির কারণে ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে।
ইলিশের মৌসুম সামনে (আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে) আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের ইলিশ হবে সুস্বাদু। কারণ আমরা নদীর পানি পরীক্ষা করে দেখেছি এবার করোনার কারণে দীর্ঘসময় লকডাউনের ফলে নদীতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নদীর পানির দূষন কমে গেছে। তাই ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিচরণ করতে পেরেছে অনায়াসে, নির্ভয়ে।
‘মাছের খাদ্য আহরণের জন্য নদীর অবস্থা বেশ ‘কনজেনিয়েল কনডিশন’ ছিল বিধায় এবারের ইলিশ হবে ‘বেশি সুস্বাদু, বেশি স্বাদের,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে, চাঁদপুরের বৃহত্তম মাছ ঘাট বড় রেল স্টেশনের মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানি বাড়লেও শহর ও শহরতলির হাট বাজারের খুচরা বিক্রিতে দাম কমছে না।
জেলা শহরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অনেক মাছের ট্রলার ও সাত-আটটি ট্রাক, মিনি ট্রাক ও পিকআপ বিপুল পরিমাণ মাছ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় ভোলা, হাতিয়া, চর আলেকজান্ডার, চর ফেশন, লক্ষীপুরের কমলনগর, চাঁদপুরের হাইমচরের চর ভৈরবী এলাকা থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে এসেছে। আবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইলিশ মাছ লোডিং হচ্ছে ট্রাকে, মিনি ট্রাকে বা পিকআপে।
মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক মাল জানান, কয়েকদিন থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে এ ঘাটে ট্রলার, ট্রাক ও মিনি ট্রাকযোগে প্রচুর ইলিশ মাছ আসছে। প্রতিদিনই দুই-তিন হাজার মণ ইলিশ মাছ আমদানি হয় এ মাছ ঘাটে।মাছের ব্যবসায়ী ও দিনমজুররা এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বকাউল জানান, এখান থেকে মাছ ট্রাক ও মিনি ট্রাকযোগে ঢাকার কারওয়ান বাজার, আজমপুর, বাইপাইল, পূবাইল, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, শায়েস্তাগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলে এলাকায় রপ্তানি হয়। তাই মাছ ঘাট সংলগ্ন বরফ কল-ফ্যাক্টরিগুলো ব্যস্ত।
ঘাটের ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দনি সরদার ও মানিক বলেন, ‘আমরা এখান থেকে পাইকারি দরে মাছ কিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি।’
জেলা শহরের মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশ কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।